এতদিনে অনেকেই “মিররলেস” ক্যামেরার গঠনগত বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে বিশদে জেনে ফেলেছেন। তবু মূল আলোচনা শুরু করার আগে একবার খুব সংক্ষেপে দেখে নেওয়া যাক “মিররলেস” ক্যামেরার এক্কেবারে গোড়ার কথা। কেন এই ধরণের ক্যামেরা অন্যান্য সব ক্যামেরা থেকেই বিশেষভাবে আলাদা? এবং আপনি যদি ফোটোগ্রাফি জগতে কিছুদিন কাটিয়ে ফেলে থাকেন, তাহলে নিশ্চই এও শুনেছেন “মিররলেস” ক্যামেরাই আগামীদিনের প্রযুক্তি হতে চলেছে। ফলতঃ সমস্ত ক্যামেরা নির্মাণ কোম্পানিরাই যুগোপযোগী ক্যামেরা নির্মাণে মন দিয়েছেন। এই নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবের পিছনে মূল পরিবর্তন হলো DSLR মডেলের ভিতর থেকে “মিরর” বা আয়নাটি সরিয়ে ফেলা। এজন্যই এই নতুন প্রযুক্তির নাম “মিররলেস”।

মিররলেস প্রযুক্তি
প্রধান যান্ত্রিক পরিবর্তন সমূহ
DSLR জাতীয় ক্যামেরায় ইমেজ সেন্সর এবং শাটারের সামনে থাকে একখানা অর্ধস্বচ্ছ “মিরর” বা আয়না। লেন্স থেকে আসা আলোর বেশিরভাগ অংশ সেই আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে উপরে পেন্টাপ্রিজমের মধ্যে দিয়ে ভিউফাইণ্ডারে পৌঁছয়। বাকি অল্প আলো প্রধান আয়নার মধ্যে দিয়ে প্রতিসরিত হয়। এরপর দ্বিতীয় আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে ক্যামেরার নিচে অটোফোকাস সেন্সরে পৌঁছয়। প্রচলিত DSLR সিস্টেমে অটোফোকাস সেন্সরে পদ্ধতিগতভাবে এমনিতেই কম আলো পৌঁছনোর কারনে সাধারণতঃ বাস্তবে একটু অন্ধকার জায়গায় ছবি তুলতে গেলে অটোফোকাস করতে অসুবিধে হয়। কিন্তু ভিউফাইন্ডারে যথেষ্ট আলো থাকার কারনে ছবি সরাসরি এবং স্পষ্ট দেখা যায় কোনরকম ডিজিট্যাল সাহায্য ছাড়াই।
মিররলেস প্রযুক্তিতে ক্যামেরার ভিতরের এই আয়নাটি সরিয়ে ফেলার জন্য প্রথমেই যে দুটি বড়ো পরিবর্তন ঘটলো তা হল ভিউফাইণ্ডার এবং অটোফোকাস পদ্ধতির।
ভিউফাইণ্ডার অপটিক্যাল এর জায়গায় হয়ে গেল ইলেকট্রনিক ভিউফাইণ্ডার। ক্যামেরার নিচের দিকের ফোকাস সেন্সরও বাতিল হয়ে গেল। নতুন পদ্ধতিতে মূল “ইমেজ সেন্সর”-ই অটোফোকাস এর কাজে ব্যবহার হতে লাগলো। ফলে দ্বিতীয় যে পরিবর্তনটি ঘটলো, আন্দাজ করেছেন নিশ্চই, তা হলো অটোফোকাস পদ্ধতি সহ ইমেজ সেন্সর। অটোফোকাস পদ্ধতি যোগ হওয়ায় ইমেজ সেন্সরও পুরোপুরি পালটে গেল। অত্যাধুনিক ইমেজ সেন্সর আসায় পরিবর্তন হলো “ইমেজ প্রসেসর” এবং অন্যান্য আরো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশেও।
সাথে সাথে কমে গেল ক্যামেরার আয়তন, ওজন ইত্যাদিও। আরো একটি বড়ো পরিবর্তন ঘটলো লেন্স প্রযুক্তিতে। ক্যামেরা ছোট হওয়ার কারনে এখন ইমেজ সেন্সর থেকে লেন্সের দূরত্ব কমে গেছে। এজন্য আলোকরশ্মিকে কম পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে এখন। লেন্স-এর সূক্ষাতিসূক্ষ্ম মাপের গণনা কিছুটা সহজ হলো। তাতে লেন্সের গুণগত মান বেড়ে গেলে বেশ কিছুটা। লেন্স প্রযুক্তিও মিররলেস ক্যামেরার সাথে আরো অত্যাধুনিক হয়ে উঠবে এই স্বাভাবিক।
অপ্টিক্যাল ভিউফাইণ্ডার (OVF) এবং ইলেকট্রনিক ভিউফাইণ্ডারের (EVF) একটা বড়ো পার্থক্য ~ OVF-এ ক্যামেরা এক্সপোজার সেটিং-এর ফলাফল দেখা যায় না। অর্থাৎ আপনি এক্সপোজার কমালে বাড়ালেও OVF-এ তার ফলাফল দেখা যাবে না। আপনি বাস্তব দৃশ্যের যা আলো তাই সরাসরি দেখতে পাবেন। ছবি তোলার পর ক্যামেরায় দেখতে পারেন আলো ঠিক হলো কিনা। কিন্তু EVF ইমেজ সেন্সর থেকে তথ্য নিয়ে ভিউফাইণ্ডারে ডিজিট্যালি দেখাচ্ছে। ফলে আপনি এক্সপোজার বদলের ফলাফল ভিউফাইণ্ডারে দেখতে পারেন ছবি তোলার আগেই।
EOS R7 এবং EOS R10 ~ কেন গুরুত্বপূর্ণ ?


EOS R7 এবং EOS R10 ক্যাননের পক্ষ থেকে APS-C Mirrorless ক্যামেরা বিভাগে উল্লেখযোগ্য সংযোজন।
ক্যানন APS-C সেন্সর সাইজের লেন্স বদলানো যায় এমন মিররলেস ক্যামেরা বার করেছে আগেই। EOS M50, EOS M6 এবং EOS M200 তিনটি ক্যামেরাই APS-C সেন্সর সাইজের ক্যামেরা। কিন্তু তিনটি ক্যামেরাতেই লেন্সের জন্য EF-M Mount ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ আপনি এই তিনটে ক্যামেরায় ক্যানন-এর মূল RF Mount-এর মিররলেস লেন্স সম্ভার ব্যবহার করতে পারবেন না।
ঠিক এইখানেই নতুন EOS R7 এবং EOS R10 এর সূচনা। এই দুটি ক্যামেরাও M সিরিজের মতোই APS-C সাইজের সেন্সর দিয়ে তৈরি। কিন্তু লেন্স-এর ক্ষেত্রে এই ক্যামেরা দুটোতে RF Mount ব্যবহার করা হয়েছে। ক্যানন-এর নতুন RF সিরিজের লোভনীয় লেন্সগুলো এই দুটো ক্যামেরায় ব্যবহার করা যাবে।
APS-C সেন্সর-এর ক্যামেরার কিছু আলাদা সুবিধে আছে। ক্যানন APS-C সেন্সরের ক্রপ ফ্যাক্টর 1.6X, অর্থাৎ ব্যবহৃত লেন্স-এর ফোকাল লেন্থ 1.6 গুণ বেড়ে যাওয়ার মত ছবি পাওয়া যায়। সহজ অঙ্কে বললে একটা 24mm-70mm লেন্স APS-C সেন্সর সাইজের ক্যামেরায় লাগালে 38mm-112mm ফোকাল লেন্থ এর মত কাজ করে। যারা কর্মাশিয়াল কাজ করেন বা বিশেষতঃ ওয়াইল্ড লাইফ ফোটোগ্রাফি করেন তাদের জন্য এই ফোকাল লেন্থ বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারটা সুবিধেজনক হতে পারে। এছাড়াও দামের ক্ষেত্রে ফুল ফ্রেম ক্যামেরার চেয়ে APS-C বা ক্রপ ফ্রেম ক্যামেরা অনেক সাশ্রয়কারী। নতুন যারা ফোটোগ্রাফি জগতে ঢুকছেন তাদের কাছে ফুল ফ্রেম ক্যামেরা প্রায়শঃই আয়ত্বের বাইরে হয়ে যায়। এমতাবস্থায় একটি প্রফেশনাল ক্রপ ফ্রেম ক্যামেরা যথার্থই বন্ধু হয়ে দাঁড়ায়।
EOS R7 এবং EOS R10 ~ পাশাপাশি তুলনা
Feature | EOS R7 | EOS R10 |
---|---|---|
Front View | ![]() | ![]() |
Sensor Type | APS-C CMOS | APS-C CMOS |
Processor Type | DIGIC X | DIGIC X |
Lens Mount | RF | RF |
Image Stabilizer | In-body 5-axis sensor-shift image stabilization (Still/Movie) | In-body 5-axis electronic image stabilization |
Weight | 612 gm | 429 gm |
Dimensions | 132.0 x 90.4 x 91.7mm | 122.5 x 87.8 x 83.4mm |
Megapixels | 32.5 | 24.2 |
LCD Monitor Resolutions | 1.62 million | 1.04 million |
Continuous Shooting Speed | Up to 30 fps with AF/AE tracking | Up to 23 fps with AF/AE tracking |
AF System Points | Up to 651 AF frame zones | Up to 651 AF frame zones |
AF Mechanism | Dual Pixel CMOS AF II | Dual Pixel CMOS AF II |
Battery | LP-E6NH / LP-E6N / LP-E6 | LP-E17 |
Memory Card Type | Dual Card Slots (SD, SDHC, SDXC) | Single Card Slot (SD, SDHC, SDXC) |
Movie Options | 4K UHD Fine (7K oversampling), 4K 60p and Canon Log 3 | 4K UHD (6K oversampling) and 4K 60p |
Weather Sealing | Yes (Dust- and drip-resistant magnesium alloy body) | No |
EOS R7 এবং EOS R10 ~ পাঁচটি প্রধান সুবিধা

নতুন প্রযুক্তির সাথে সাথে আসে কিছু নতুন সুবিধে। মিররলেস প্রযুক্তির প্রকৃত সুফল আদায় করতে গেলে বুঝে নেওয়া দরকার ঠিক কীভাবে আমাদের সাহায্য করে এই আধুনিক যন্ত্র। বিষয়ের খুব গভীরে না গিয়ে অল্প কথায় আলোচনা করা যাক কিছু প্রধান সুযোগ সুবিধে নিয়ে।
১। যুগান্তকারী অটোফোকাস সিস্টেম
Dual Pixel AF II, AI AF Tracking

ক্যাননের তার যুগান্তকারী Dual Pixel CMOS Auto Focus (DPAF) পদ্ধতি প্রথম ব্যবহার করে ২০১৩ সালে EOS 70D ক্যামেরায়। প্রায় দশ বছরে এই পদ্ধতি অনেক পথ পেরিয়েছে। ২০২০ সালে EOS R5 এবং EOS R6 ক্যামেরায় উন্নততর Dual Pixel AF II প্রথম ব্যবহার হয়। এই দ্বিতীয় ধরণে Artificial Intelligence বা সংক্ষেপে AI ব্যবহার করে মানুষের চোখ বা পশু পাখির চোখ চিনে নিতে পারে ক্যামেরা।
আগে যেমন আলোচনা হল, মিররলেস ফোকাসিং পদ্ধতিতে ইমেজ সেন্সরই ফোকাসিং এর কাজ করে। DPAF পদ্ধতিতে সেন্সরের সমস্ত পিক্সেলই অটোফোকাসের কাজ করতে পারে। ফলে ফোকাস পয়েন্টের সংখ্যা ও বিস্তার দুই-ই বেড়ে যায়।

Eye Detection সুবিধে মানুষের চোখ চিনে নিয়ে নিজেই ফোকাস করতে পারে, এমনি মাস্ক পরা অবস্থাতেও। Head Detection চালু থাকলে সানগ্লাস পরা অবস্থাতেও মানুষের মুখ চিনে নিতে পারে।

Animal Detection-এর সুবিধে কুকুর, বিড়াল এবং পাখির ক্ষেত্রে তাদের চোখ চিনে নিয়ে ফোকাস করতে পারে। ওয়াইল্ড লাইফ ফোটোগ্রাফিতে Focus Tracking-এর জন্য এই সুবিধে অত্যন্ত কার্যকরী।

গাড়ি অথবা বাইক রেসিং এর ক্ষেত্রে কাজে লাগে Vehicle Detection-এর সুবিধে। ড্রাইভারের হেলমেট বা সম্পুর্ণ গাড়ি চিনে নিতে সমর্থ এই পদ্ধতি।
২। নতুন ইমেজ ফর্ম্যাট
HDR PQ and HDR PQ Composite

আমরা এতদিন ছবি তুলে এসেছি raw বা jpeg ফর্ম্যাটে। হয়তো সব্বাই এখনো খোঁজ পান নি কিছুদিন হলো ফোটোগ্রাফি জগতে নতুন একটি ফর্ম্যাট এসেছে। এই নতুন ফর্ম্যাটের নাম HDR PQ বা HEIF (High Efficiency Image Format)। HEIF-এর বিশেষত্ব হলো এটি 10 bit ফর্ম্যাট। RAW সাধারণতঃ 12 bit/14 bit হয়ে থাকে। অন্যদিকে JPG হয় 8 bit ছবি। HEIF বসে আছে RAW আর JPG-এর ঠিক মধ্যিখানে। এজন্য HEIF ছবির সাইজ হয় কম কিন্তু ডায়নামিক রেঞ্জ বেশ খানিকটা বেশি পাওয়া যায়।
EOS R5 এবং EOS R6-এ ক্যানন HEIF ফর্ম্যাট দিয়েছিলো। কিন্তু এই ক্যামেরা দুটিতে আরেক ধাপ এগিয়ে HDR PQ Composite দেওয়া হয়েছে। ক্যামেরা তিনটি HDR PQ ছবি তুলে তাদের জুড়ে একটি composite ছবি তৈরি করতে পারে।
যারা নিয়মিত কাজ করেন তাদের জন্য এই নতুন ফর্ম্যাট অনেক নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।
৩। সূক্ষ মূহুর্ত ধরার ক্ষমতা
High-speed Continuous Shooting

সূক্ষ্মতম মূহুর্ত ধরা নেহাত সহজ নয়। কিছু কিছু দ্রুত ঘটনার ছবি তোলার সময় সঠিক মূহুর্ত ধরতে অসামান্য সহযোগিতা করতে পারে Continuous Mode বা Burst Mode। এই মোড-এ ক্যামেরা অত্যন্ত দ্রুত বেশ কয়েকটি ছবি তুলে ফেলে। তারপর সেখান থেকে পছন্দসই মূহুর্তের ছবি বেছে নেওয়া যায়। ক্যামেরা এক সেকেণ্ডে যত বেশি ছবি তুলতে পারবে তত নিখুঁত মূহুর্ত ধরা সম্ভব হতে পারে।
EOS R7
EOS R10
৪। নতুন RF মাউণ্টের সুবিধা
More Mount Pins, Less Flange Back Distance, RF Lenses

ক্যামেরা ও লেন্স-এর মধ্যে যাবতীয় তথ্য আদান প্রদানের রাস্তা হলো লেন্স মাউণ্ট। উন্নত মাউণ্টিং পদ্ধতি বেশী তথ্য দ্রুত পরিচালনা করতে পারে। আধুনিক ক্যামেরা ও দ্রুত লেন্স ঠিকমতো কাজ করার জন্য বিশেষভাবে জরুরী। মিররলেস RF মাউণ্টে দুটি প্রধান পরিবর্তন হয়েছে।
১। মাউণ্ট পিন-এর সংখ্যা বৃদ্ধি
২। লেন্সের শেষ প্রান্ত থেকে সেন্সরের দূরত্ব হ্রাস

পুরোনো EF মাউণ্টে আটখানা পিন ছিলো। RF মাউণ্টে পিনের সংখ্যা বাড়িয়ে বারো করা হয়েছে। এর ফলে আরো দ্রুত তথ্য সঞ্চালনা সম্ভব হয়েছে। সম্ভব হয়েছে দ্রুত ফোকাসিং।

EF সিস্টেম-এ লেন্স থেকে সেন্সরের দূরত্ব ছিলো 44mm। নতুন RF সিস্টেম-এ এই দূরত্ব হয়েছে 20mm। লেন্সের গুণমান বৃদ্ধিতে প্রভূত সাহায্য করেছে এই ছোট্ট পরিবর্তন।
৫। নতুন RF লেন্স সম্ভার
Wide Aperture RF Prime, RF Zoom
EOS R7 এবং EOS R10-এ সমস্ত নতুন RF লেন্স ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে লেন্সের ফোকাল লেন্থ-কে 1.6 দিয়ে গুণ করে নিয়ে APS-C সেন্সরের কার্যকরী ফোকাল লেন্থ পাওয়া যাবে। উল্লেখযোগ্য কিছু RF লেন্স ও APS-C সেন্সরে তাদের কার্যকরী ফোকাল লেন্থ পাঠকের সুবিধের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
কিছু জনপ্রিয় RF প্রাইম লেন্স ও APS-C সেন্সরে তাদের ফোকাল লেন্থ
ইমেজ এ টাচ অথবা হোভার করে APS-C ফোকাল লেন্থ জেনে নিন।





কিছু জনপ্রিয় RF জুম লেন্স ও APS-C সেন্সরে তাদের ফোকাল লেন্থ
ইমেজ এ টাচ অথবা হোভার করে APS-C ফোকাল লেন্থ জেনে নিন।





চলচ্চিত্র গ্রহণ ক্ষমতা ~ Movie Recording Features

4K রেকর্ডিং ~ EOS R7 এবং R10 উভয়েই 4K ভিডিও রেকর্ড করতে সক্ষম। তবে রেকর্ডিং পদ্ধতিতে কিছু পার্থক্য আছে। R7 সেন্সর 7K ডেটা থেকে ফাইনাল 4K তৈরি করে। অন্যদিকে R10 সেন্সর 6K ডেটা থেকে ফাইনাল 4K ভিডিও তৈরি করে।
ভিডিও ইমেজ স্টেবিলাইজেশান ~ R7 সেন্সর শিফট পদ্ধতিতে স্টেবিলাইজেশান ব্যবহার করে। অন্যদিকে R10 ব্যবহার করে ডিজিট্যাল স্টেবিলাইজেশান। যদিও R10 লেন্সের অপ্টিক্যাল স্টেবিলাইজেশান থাকলে তারও সাহায্য নেয়।
HDR PQ Movies ~ দুটি ক্যামেরাই 4:2:2 10-bit HDR PQ ফর্ম্যাটে মুভি রেকর্ড করতে পারেন। এই ফর্ম্যাটে স্থিরছবির মতোই আলো ও অন্ধকার উভয় দিকেই ভালো ডিটেল পাওয়া যেতে পারে।

শেষ কথা
EOS R7 এবং R10 বাজারে আসবে জুলাই মাস নাগাদ। তারপরে পাওয়া যাবে ব্যবহারকারীদের রিভিউ। তার আগে পর্যন্ত ক্যাননের ঘোষণা এবং ওয়েবপাতা থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন। আমরা মনে করি আগামী কিছুদিন রাজত্ব করবে এই ক্যামেরা দুটি।
EOS R7 তৈরি হয়েছে তুলনামূলক অভিজ্ঞ ফোটোগ্রাফারদের জন্য। বেশি মেগাপিক্সেল, ওয়েদার সিলিং, দুটো মেমরি কার্ড স্লট ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য গুলো সেদিকেই ইঙ্গিত করে। ওয়াইল্ড লাইফ বা স্পোর্টস ফোটোগ্রাফাররা এই ক্যামেরা থেকে বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন।
EOS R10 নতুন বা স্বল্প অভিজ্ঞতার ফোটোগ্রাফারদের কাজে আসবে বেশি। সামগ্রিকভাবে এই ক্যামেরা নতুনদের আরো সিরিয়াস কাজের নির্ভরযোগ্য সহকারী হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে।
R7 না R10 ? আপনার পছন্দ কোনটি ? জানাতে পারেন কমেন্ট বক্স-এ। এই দুই ক্যামেরা সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে তাও নির্দ্বিধায় জিজ্ঞেস করে ফেলতে পারেন ওই কমেন্ট বক্স-এই।
ঋণস্বীকার ~ এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত সমস্ত ছবি Canon India-র ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া এবং শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত।
Canon India ওয়েবসাইটে মূল প্রতিবেদন পড়ুন – EOS R7 (click here) , EOS R10 (click here)
দারুণ লেখা। অনেক তথ্য হাতের সামনে একসাথে পেলাম। RF লেন্স নিয়ে কিছু আলোচনা পেলে ভালো লাগবে।